
মাস্টারি বিডি । শান্তা ইসলাম
ফিচার । ০২ জানুয়ারি ২০১৯ । ১৯ পৌষ ১৪২৫
শীতকালে এই বাহারি রং রূপের ফুলটি দেখা যায়। ফুলের নাম কসমস। ঢাকা শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আঙিনায় এমনকি অনেকের বাগানেও মাথা তুলতে দেখা যায় লিকলিকে সবুজ এই গাছ। নানা রঙের ফুল ফোটে এতে। হলুদ, কমলা, চকোলেট, হালকা-গাঢ় গোলাপি এবং সাদা রঙের কসমস দেখতে খুবই ভালো লাগে।

কসমসের বৈজ্ঞানিক নামও Cosmos। রঙ এবং ধরন ভেদে নামের ভিন্নতা দেখা যায় যেমন Cosmos sulphureus হলো আমাদের পরিচিত উজ্জ্বল কমলা-হলুদ কসমস। Cosmos bipinnatus হলো সাদা এবং গোলাপি কসমস। আর চকোলেট রঙের কসমসের নাম Cosmos atrosanguineus। সব মিলিয়ে প্রায় ২০ প্রজাতির কসমস আছে।

Cosmos একটা গ্রিক শব্দ যার মানে হলো ঐকতান অথবা সামঞ্জস্যপূর্ণ পৃথিবী। ভিক্টোরিয়ান সময়ে শ্লীলতার প্রতীক ছিল কসমস।

কসমসের উৎপত্তিস্থল হিসেবে ধরা হয় মেক্সিকোকে। আমেরিকার ফ্লোরিডা, অ্যারিজোনা এমনকি প্যারাগুয়ে পর্যন্ত এই ফুলের বিভিন্ন ধরন প্রাকৃতিকভাবে জন্মায়।

কসমসের বীজ দ্রুত ছড়ায় এবং খুব কম সময়ের মাঝেই আশেপাশের এলাকা দখল করে ফেলতে পারে বলে আমেরিকার কোনও কোনও জায়গায় একে আগাছা হিসেবে দেখা হয়।

কসমস একটি তৃণ জাতীয় গাছ। সাধারণত বহুবর্ষজীবী হলেও বাগানে একে চাষ করা হয় একবর্ষজীবী গাছ হিসেবে।

কসমস ফুলদানিতেও থাকতে পারে প্রায় সপ্তাহখানেক। ফুল শুকিয়ে রাখলেও সুন্দর লাগে।

আর বাগানে থাকলে এরা নিজেরা তো সৌন্দর্য বর্ধন করেই তার সাথে সাথে বাগানে ডেকে আনে প্রজাপতি এবং মৌমাছি।
মাস্টারি সংবাদ মাস্টারি সংবাদে আপনাকে স্বাগতম