Home / জাতীয় / দিস ইজ অ্যা হাসপাতাল—নান্দাইল হাসপাতাল
18 10 25 1 copy

দিস ইজ অ্যা হাসপাতাল—নান্দাইল হাসপাতাল

ঢাকা, সোমবার ২৭ অক্টোবর ২০২৫ মাসস

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলছে চুরি-ছিনতাইয়ের মহোৎসব। গত এক বছরে অন্তত ৯ বার জেলা, উপজেলা ও থানা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানো হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে চোরেরা এখন দিনে-দুপুরেও হাসপাতাল চুরি করছে। পরিত্যক্ত ভবনগুলোর গ্রিল, দরজা-জানালা, পানির পাইপ—সবই খুলে নিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়দের ভাষায়, এখন শুধু ভবনের ইট খোলা বাকি।জানা গেছে, হাসপাতালের পরিবেশ দিন দিন আরো অবনতির দিকে যাচ্ছে। সংঘবদ্ধ দালাল ও চোরচক্রের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যন্ত—নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন, এমনকি রোগীর পরনের গয়নাও চুরি হচ্ছে নিয়মিত।
সরকারি হাসপাতালের বিভিন্ন ভবনের পাশাপাশি পরিত্যক্ত ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীদের কোয়ার্টারগুলোতেও চলছে চুরির উৎসব। এসব ভবনের গ্রিল, রড, পাইপ, কেচিগেটসহ সব মালামাল খুলে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের কর্মীরা প্রতিবাদ করতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে এখন নীরব।হাসপাতাল প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসক ও কর্মচারীদের পুরোনো আবাসিক ভবনগুলো এখন প্রায় খোলামেলা।
কিছু ভবনে কয়েকজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী থাকলেও তাদের কক্ষ থেকেও নিয়মিত চুরি হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, রাতে এসব ভবনে মাদকাসক্তদের আড্ডা বসে, আর সেখানেই হয় চুরির পরিকল্পনা। দিনের বেলাতেও চিহ্নিত চোরেরা প্রকাশ্যে মালামাল নিয়ে যায়। অনেকেই হতাশ হয়ে বলেন, ‘আর কিছুদিন পর হয়তো ইটও খুলে নিয়ে যাবে।’নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামিমা সুলতানা বলেন, ‘গত এক বছরে অন্তত নয়বার চুরির ঘটনা ঘটেছে।
জেলা সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু কোনোভাবেই চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। এখন চোরেরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।’ময়মনসিংহের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘আমি এক সপ্তাহ আগে দায়িত্ব নিয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সদ্য বদলি হওয়া নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার বলেন, ‘আমার সময়ে যে কয়টি অভিযোগ পেয়েছি, সবই থানায় পাঠানো হয়েছে আইনগত পদক্ষেপের জন্য।’

নান্দাইল থানার ওসি খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা সম্পূর্ণ ব্যর্থ। পুলিশ খবর পেলে অভিযান চালায়, তবে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব নিরাপত্তাকর্মীদেরই নিতে হবে। আমরা নিয়মিত নজরদারি ও অভিযান চালাচ্ছি।’

নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও কর্মীরা। এক সময় স্বাস্থ্যসেবার প্রাণকেন্দ্র ছিল যে হাসপাতাল, আজ সেটি চোরদের নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে।

সূত্র : কালের কণ্ঠ

About Mastary Sangbad

Mastary Admin

Check Also

29 25 3

প্রবল তুষারপাতের কারণে বন্ধ এভারেস্ট, দুর্ঘটনায় উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার

ঢাকা, বুধবার ২৯ অক্টোবর ২০২৫মাসস অস্বাভাবিক তুষারপাতের কারণে বুধবার থেকে এভারেস্ট অঞ্চলের নেপালি ও চীনা দিক …