
মাস্টারি বিডি । বাঁধন খান
ফিচার । ১৭ জানুয়ারি ২০১৯ । ০৪ মাঘ ১৪২৫
কেউ কেউ হয়তো ভাবতে পারেন- গরমেই কেবল ডাবের শেতল পানি খেতে হয়। আসলে এ ভাবনাটি ঠিক নয়। শীতেও ডাবের পানি খেতে হয়।
পুষ্টিবিদগণ বলেন, একটি ডাবে প্রায় ২০০ থেকে ১০০০ মিলি পর্যন্ত পানি থাকতে পারে। এই পানিতে কি কি রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, অ্যামিনো এসিড, এনজাইম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি এবং অনেক ধরনের মিনারেল; যেমন: আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাংগানিজ, জিংক ইত্যাদি।

শীতকালে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকায় শরীর শুষ্ক হয়ে যায়। শরীরে পানির চাহিদা বৃদ্ধি পায়, ডাবের পানি পিপাসা মিটিয়ে শরীরকে সতেজ রাখে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডায়েরিয়া রোগিদের জন্য পানিশূন্যতার থেরাপি হিসেবে ডাবের পানি পান করার সুপারিশ করেছে। গবেষকরা ব্যায়ামের পর ডাবের পানি পান করার পরামর্শ দেন।

ডাবের পানি হজম প্রক্রিয়া সহজ করে। এটি ক্ষুধা ও রুচি বর্ধক। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় ডাবের পানি উপকারী। ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর করে ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখে।
প্রসাবের বিভিন্ন প্রদাহ দূর করতে সহায়তা করে ডাবের পানি।
প্রেগন্যান্ট মায়েদের জন্য ডাবের পানি অনেক উপকারী। মাথাব্যাথা, বুকে ব্যাথা ও গ্যাসের ব্যথা (এসিডিটি) ইত্যাদি কমাতে সাহায্য করে।

তবে, যার উপকারিতা আছে তার অপকারিতাও কিছু থাকে। তেমনি উপকারি ডাবের পানিতেও কিছু অপকারিতা রয়েছে।
কিডনী পুরোপুরি কর্মক্ষম না থাকলে ডাবের পানি পান করবেন না।
অ্যালার্জির জন্য এটি উপকারি নয়।
সার্জারীর কমপক্ষে দুই সপ্তাহ পূর্ব থেকে ডাবের পানি খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে।
সামান্য ফ্যাট থাকে তাই নিয়মিত পান করলে ওজন বেড়ে যওয়ার ভয় আছে।
মাস্টারি সংবাদ মাস্টারি সংবাদে আপনাকে স্বাগতম